চালু হলো ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। সপ্তাহে সাত দিনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় আম পরিবহন করবে ট্রেনটি। প্রতি কেজি আম পরিবহনে খরচ হবে মাত্র এক টাকা ৩১ পয়সা।
যাত্রার প্রথম দিন প্রায় ১০ হাজার কেজি আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন।
এবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এক মাস আগে থেকে আম বাজারজাত শুরু করেছেন রাজশাহী জেলার ব্যবসায়ীরা। চলতি মৌসুমে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে কিছু জাতের আম এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে। তাই আরও আগে স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়া উচিত ছিল বলে মতামত দেন আম ব্যবসায়ী।
তারা বলেন, এখন ল্যাংড়া ও আম্রপালি ওঠেছে। আমের তো মৌসুম প্রায় শেষ। আম বেশি দিন থাকবে না। গোপাল জাতের আম আমরা ৫ থেকে ৬ দিন বেচেছি। সুতরাং মৌসুমের সময়ে ট্রেন না পাওয়ায় আমাদের লোকসান হয়েছে। আর ১৫ দিন আগে ট্রেনটি দিলে ব্যবসা আরেকটু বেশি ভালো হতো।
তবে আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই ট্রেন চালুর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার। তিনি বলেন, আম চাষিদের কাছ থেকে ধারণা নিয়েই আমরা প্রকৃতপক্ষে ট্রেন ছাড়ার তারিখ নির্ধারণ করেছি। যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে আমরা ভবিষ্যতে সেটি শুধরে নেয়ার চেষ্টা করব।
এ ট্রেনে স্বল্প খরচে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জেলার বাইরে আম পাঠাতে পারবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রতি কেজি আম ঢাকায় পৌঁছাতে খরচ হবে এক টাকা ৩০ পয়সা। সর্বনিম্ন আম পাঠানো যাবে ২০ কেজি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয় রাজশাহীর স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, কৃষকের উৎপাদিত মৌসুমি ফল অনায়াসে ও স্বল্প মূল্যে রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্সেল ট্রেনের মাধ্যমে পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন। এর পরপরই পাঁচটি ওয়াগন আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।


