চলতি বছর অনেক চ্যালেঞ্জিং। এজন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের রমজানে পণ্য বেচাকেনায় সহনশীল থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, কোন পণ্যের দাম বেশি হলে তা কিনতেই হবে এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ক্রেতাদের। তাহলে পণ্যের দাম নিয়ে কোন অরাজতকা হবে না।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) কারওয়ানবাজারে ভোক্তা অধিদফতর আয়োজিত ফল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্দরে আসা কন্টেইনার দ্রুত খালাস না হলে অস্থির হবে বাজার।
রমজানে পণ্য দামে কম রাখার দাবি জানিয়েছেন এফবিসিসিআই পরিচালক মো. হারুনর রশিদ। তিনি বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এলসিসহ সব জটিলতা নিরসনে আগেই নির্দেশনা দেয়া আছে। সাপ্লাই চেন ঠিক থাকলে সমস্যা হবে না। তবে রোজার আগে দাম বেড়ে যাওয়া কোনভাবেই ঠিক না।
এছাড়াও আমদানি পণ্য সহ দেশিও পণ্যের দামও এখন থেকেই দাম মনিটরিংয়ের পরামর্শ দেন ভোক্তা কণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান।
ডলারের ও তেলের দামের প্রভাব সব খাতেই। তবে এটি অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত দাম না বাড়ানো যাবে না জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিজুজ্জামান। তিনি বলেন, এবার রমজানে ৪০ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদার মধ্যে ১০ হাজার টন খেজুর টিসিবি কিনেছে। বাকি ৩০ হাজার মেট্রিক টন খেজুর সরবরাহ করবে ব্যবসায়ীরা।
সভায় ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, দেশে যে পরিমাণ ফল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়, তা দ্রুত খালাস করা। অন্যাথায় দাম অনিয়ন্ত্রিত হবে। ফলসহ অন্যান্য ফলের বাজারও মনিটরিং করতে হবে। ভ্যানে ফল বিক্রিতে যে চাদা নেয়া হয়, তা বন্ধ করতে পারলে কম দামে ফল কিনতে পারবে ভোক্তারা।
মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর কোথাও থাকলে তা ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানানোর জন্য বলেন ব্যবসায়ীদের- ভোক্তা অধিদফতর পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
বিদেশি ফল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি, ফল সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ, দেশে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জের দেয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


