বিশ্বব্যাপী নানা প্রতিকূলতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাই যখন মুখ থুবড়ে পড়ছে, সাথে নিত্যপণ্যের চাহিদার যোগানও দেয়া যাচ্ছে না ঠিকভাবে।েএ কারণে অনেক সময়ই সরবরাহ সংকটকে পুঁজি করে দাম বাড়ছে আমদানি নির্ভর বিভিন্ন পণ্যের।
ধারাবাহিকতায় শুরুর দিকে করোনার কারণে জ্বালানী তেলের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়লেও সে অনুযায়ি করোনার তৃতীয় ঢেউ তেলের বাজারে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
দাম বাড়ার যে ধারাবাহিকতা তাতে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির প্রতি ব্যারেল জ্বালানী তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে যা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ ডলারে। বিগত সাত বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে বর্তমান বাজারে তেলের দাম সর্বোচ্চ স্থান দখল করে আছে।
দাম বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয়কে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তেলের জোগান না থাকা, ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত এবং অস্থিতিশীল বিশ্ববাজারকে দায়ী করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্বাভাসমতে, এ বছর বিশ্বে তেলের চাহিদা দিনে ৩২ লাখ ব্যারেল বেড়ে সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেলের জোগান বাড়িয়ে অনিশ্চিত বাজার কিছুটা শান্ত করতে পারে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। আর হিটিং অয়েলের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ। এর আগে জানুয়ারি মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ। আর হিটিং অয়েলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের ওপরে।


