সব ধরণের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হলো ছেঁড়াদ্বীপে। এরমধ্য দিয়ে ছেঁড়াদ্বীপে লাইফ বোট, স্পিড বোট ও ট্রলারসহ সড়কপথেও বন্ধ রাখা হয়েছে ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণ। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে এসব যান চলাচল।
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ অংশে পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় সেন্ট মার্টিনে ছয় ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এসব নির্দেশনা দেয়া হলেও তা না মেনে দীর্ঘদিন ধরে ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণে যান পর্যটকরা। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো তদারকিও ছিল না স্থানীয় প্রশাসনের।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ অংশে এখনও কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। এসব প্রবাল সংরক্ষণে পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুয়ায়ী, সেন্ট মার্টিন সৈকতে কোনও ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে সেখানে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না। রাতের বেলা কোলাহল সৃষ্টি বা উচ্চস্বরে গানবাজনার আয়োজন করা যাবে না। টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতকারী জাহাজে অনুমোদিত ধারণ সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। পরিবেশদূষণকারী দ্রব্য যেমন পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করা হবে। কিন্তু এসবের কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এদিকে সম্প্রতি প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যে ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়। এ লক্ষ্যে গত মাসের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বীপ রক্ষায় বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। তারই সূত্র ধরে, সেন্টমার্টিনে সরেজমিনে সুপারিশ বাস্তবায়নে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া ইকোট্যুরিজমসহ দ্বীপকে ঘিরে সরকারের যে মহাপরিকল্পনা রয়েছে সেটি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে।


