জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ জুলাই) প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রেসিস্টেন্স ডে’-তে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সন্ধ্যা ০৬ টায় রাজধানীর হাতিরঝিল অ্যাম্পিথিয়েটারে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জুলাইয়ের গান ও ড্রোন শো প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানে ‘ হিরোস উইদাউট কেপস: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইন জুলাই’ ‘ইউ ফেইলড টু কিল আবরার ফাহাদ’, চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

এরপর জুলাইয়ের গান গেয়ে শোনান শিল্পী সেজান, তাশফি ও সানি এবং ব্যান্ডদল- রেপার কালেক্টিভ ও আর্টসেল।

জুলাইয়ের গান শেষে প্রদর্শিত হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও প্রিলিউডভিত্তিক মনোমুগ্ধকর ‘ড্রোন শো’।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কর্মকর্তাসহ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

নারী, মহাবিশ্ব, তার অন্তহীন অসীমতা, লিটন করের ক্যানভাসে আত্মার রেখাচিত্র।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) থেকে ঢাকার আঁলিয়াস ফ্রসেসে শুরু হয়েছে শিল্পী লিটন করের একক চিত্র প্রদর্শনী। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় এই বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।

এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঁলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজ, প্রফেসর ও শিল্পী ফরিদা জামান, সিটি ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ অপারেটিং অফিসার মাহিয়া জুনেদ, মারুখ মহিউদ্দিন, নিশাত মজুমদার।

‘নারী, মহাবিশ্ব – তার অন্তহীন অসীমতা’ এই শিরোনামে প্রদর্শনীটি ২৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় লিটন করেরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আইসিইউ’ এর প্রদর্শনীও থাকবে।

লিটন কর জানান, তেল রঙের ২৫টি চিত্রকর্ম এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

‘পরিবেশ সংরক্ষণ আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম। ক্রমাগত পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশগত এই বিষয়টির প্রতি বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।

১৯৭২ সালে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত স্টকহোম কনফারেন্স অন হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট এর মধ্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তজাতিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের সূচনা হয়। ১৯৭২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত আর্থ সামিটের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টার একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।

বৈশ্বিক পরিবেশগত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ স্থানীয় ও আঞ্চলিক সমস্যার শিকার। বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এবং মানুষের দ্বারা সৃষ্ট উভয় পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং দারিদ্র্যতা বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।বাংলাদেশ যে সকল পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি  হচ্ছে তা হল: বন উজাড়, পানি দূষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জমির অবক্ষয়, লবণাক্ততা, অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন ও শিল্পবর্জ্য নিষ্কাশন ইত্যাদি।

১৯৭২ সালে স্টকহোম কনফারেন্স অন হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট এর পরপরই বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথম পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ  গ্রহণ করা হয়। স্টকহোম সম্মেলনের ফলোআপ পদক্ষেপ হিসেবে, বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২৭ জন জনবল দিয়ে পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে এবং পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৭৩ জারি করে । পরবর্তী বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রমের মাধ্যমে ইহা বর্তমান পর্যায়ে উপনীত হয় ।


১৯৭৭ সালে, পরিকল্পনা কমিশনের একজন সদস্যের নেতৃত্বে ১৬ জন সদস্য নিয়ে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এবং ২৬ জন জনবলসহ একজন পরিচালকের নেতৃত্বে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল প্রতিষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৯ সালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সমন্বিত করে  মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর  নামে পূর্নগঠন করা হয় । পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তৃত থাকলেও ইহার অফিস কেবল মাত্র বিভাগীয় সদরে অবস্থিত ছিল।

পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ২১টি জেলায় এবং ২০১৯ সালে সকল জেলায় কার্যালয় স্থাপনের নিমিত্তে সাংগঠনিক কাঠামোর অনুমোদন পায় এবং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ১১৩৩।’

সূত্র: পরিবেশ অধিদপ্তর।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল। এ কর্মসূচির আওতায় ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে ১৫ই জুলাই থেকে ২১শে জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) প্রযোজিত ‘সময়ের বীর শহিদ তানভীর’ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নির্মিত ‘দ্য মনসুন রেভুলেশন’ প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে গ্লোবাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

ইবি/একে

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা চর্চায় জোর দিতে হবে। এ ভাষায় পারদর্শীতা অর্জন করতে পারলে শিক্ষার্থীরা বহির্বিশ্বের উপযোগী হয়ে উঠবে এবং দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রামের পটিয়ায় শাহচান্দ আউলিয়া মাদ্রাসার সভাকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা শিখলে ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদসহ বিভিন্ন পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে পারবে। এ ভাষা জানা থাকলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইসলামের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবে এবং ইসলাম ধর্মকে বিশ্বে তুলে ধরতে পারবে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন খালিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ফারহানুর রহমানসহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইবি/একে

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনকে যদি সফল করতে হয়, কার্যকর করতে হয় সেক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস যত বেশি স্মার্ট করা যায় এখানেই আমাদের সরকারকে অনেকটা টাকা বিনিয়োগ করতে হবে করতে হবে। অর্থ, মেধা, শ্রম সবই  বিনিয়োগ করতে হবে।  যোগাযোগ বাড়াতে হবে, নেটওয়ার্কিং করতে হবে। কারণ আপনি যদি সত্যিকার অর্থে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি রাখতে চান তাহলে এখানেই আমাদের প্রধান কাজ হতে পারে। এখানে আমাদেরকে অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। দুর্যোগ প্রস্তুতিটাকে আমাদেরকে সত্যিকার অর্থেই শক্তিশালী করতে হবে।

উপদেষ্টা সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকায় চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ এ সিগনিফিকেন্ট স্টেপ ফরওয়ার্ড ইন ফ্লাড প্রিপেয়ার্ডনেসঃ দ্যা অফিসিয়াল লঞ্চ অফ দ্যা ফ্লাড ফোরকাস্টিং এন্ড ওয়ার্নিং সেন্টার’স (এফএফডব্লিউসি) আপগ্রেডেড ওয়েবসাইট এন্ড ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পরিবর্তিত বাস্তবতায় ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়ার একটা উপায় হচ্ছে সতর্কবার্তাগুলো দেয়ার ক্ষেত্রে এক্সিলেন্স গড়ে তোলা।

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটরের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন বর্তমান সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।

তিনি বলেন, মুছাপুর রেগুলেটরের ভিত্তিপ্রস্তর আমরা আমাদের সময়ে করে দিয়ে যেতে চাই। আর এজন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন সার্কেলের সংশ্লিষ্টদের আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টা (বুধবার ২৮ মে) বিকেলে ঢাকায় পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের মাসিক আরএডিপি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, অফিসারদের মধ্যে যারা সৎ, জনবান্ধব, আন্তরিক ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন তাদেরকে পরবর্তীতে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে।

উপদেষ্টা নদী ভাঙ্গনের সময়, মানুষের বিপদের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সাড়া দেয়ার নির্দেশ দেন যাতে করে মানুষ তখন আশ্বস্ত থাকে যে সংস্থাটি মানুষে পাশে রয়েছে। পানি সম্পদ উপদেষ্টা ঈদের সময় নদীভাঙ্গন প্রবণ এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী প্রয়োজনে ছুটি বাতিলের নির্দেশনা দেন।

সভায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ৭টি বিভাগের ৭ টি নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কাজ গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে তিনি তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

মন্ত্রণালয়ের আরএডিপি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান। এছাড়া সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড.আ.ন.ম বজলুর রশীদ-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ, জোনের প্রধান প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী(অব.) বলেছেন, বিদেশে বাংলাদেশের আমের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আম রপ্তানী বাড়াতে সরকার কাজ করছে।

বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আম রপ্তানী উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।


কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: মাহমুদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: ছাইফুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম উপস্থিত ছিলেন।

সংগৃহিত

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আমের উৎপাদন ও রপ্তানী বাড়াতে হবে। রপ্তানী বাড়াতে প্রকল্পের মাধ্যমে আম উৎপাদন করা হচ্ছে। আম চাষীদের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হবে। স্বল্প মূল্যে হর্টিকালচার সেন্টার হতে কৃষকরা উন্নত জাতের আমের চারা পাবেন। প্রণোদনার মাধ্যমে হর্টিকালচার সেন্টারে আমের চারা উৎপাদন বাড়াতে উপদেষ্টা নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে আম চাষী ও রপ্তানীকারকগণ বাগানে আমের ব্যাগিং, প্যাকিং, পরিবহন, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালে উপদেষ্টা বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, আজ যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সৌদি আরব, কাতার ও বাহরাইন এ পাঁচটি দেশে ১৩ টন আমের চালান যাচ্ছে।

নবজাতকের ভবিষ্যত রোগ নির্ণয় ও সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম (বিএনএফ) এর ৭ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম যা বাংলাদেশের নবজাতক বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের ৭ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ২৩-২৪ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র আগারগাঁও এ অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের আগে দিন ২২ এপ্রিল নবজাতকদের পুষ্টি এবং কিভাবে রিসার্চ পেপার শিখতে হয় এর উপর দুটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ৭ শত ২১ জন নবজাতক বিশেষজ্ঞ এবং ৪ জন বিদেশী বিশেষজ্ঞ তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘Quality Newborn Care at Facility and Home: A pathway to Healthier Future’. সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এমকিউ-কে তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ এর ডেপুটি বাংলাদেশ প্রতিনিধি এমা ব্রিগ্রাম (Emma Brigham) ও বিএনএফএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক নাজমুন নাহার। সভাপতিত্ব করেন বিএনএফএর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মনির হোসেন। ফোরামের মহাসচিবের বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনএফ এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক সুখময় কংস বনিক।

সম্মেলনে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে Unicef, Save the Children, Projhanmo, Research Foundation, Icddr’b Orbis, Noora Health তাদের গবেষণা কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে একটি পলিসি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পলিসি সেশনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নবজাতকের পায়ের গোড়ালীর রক্ত পরীক্ষা করে ভবিষ্যৎ রোগ নির্ধারণে বাংলাদেশের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’। উক্ত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মাননীয় সচিব ডা. মোঃ সারওয়ার বারী। এই অনুষ্ঠানেও সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. মোঃ মনির হোসেন, সভাপতি, বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বিএনফএর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান।

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ইতালি সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত Antonio Alessandro সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী Matteo Piantedosi-এর আসন্ন বাংলাদেশ সফর (আগামী ০৫-০৬ মে), অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা, পুলিশ ও বিজিবি’কে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান, জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধি সহ দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে ইতালির রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতালি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি বলেন, ইতালিতে কর্মরত বাংলাদেশীরা দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত অবদান রাখছে। বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী দেশটিতে কাজ করছে। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আসন্ন সফরের মাধ্যমে সেখানে কর্মরত দক্ষ বাংলাদেশী কর্মীর সংখ্যা আরও বাড়বে এবং এর মাধ্যমে দু’দেশের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানান, সফরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আগামী ০৫ মে ২০২৫ তারিখে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে এবং তাঁর (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার) সঙ্গেও একটি দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেসময় উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে অবৈধ অভিবাসন রোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন, দু’দেশের পুলিশের পারস্পরিক সহযোগিতা, ইত্যাদি বিষয়ে ঘোষণা/সমঝোতা স্মারক/চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে বৈধ চ্যানেলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিপক্ষে। ইতালি সহ বিভিন্ন দেশে গমনের ক্ষেত্রে যেসব দালাল ও অবৈধ মানবপাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাষ্ট্রদূত এসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করেন এবং ইতালি সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মোঃ শামীম খান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মুঃ জসীম উদ্দিন খান, ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের মাইগ্রেশন অ্যাটাচে Giuseppe Di Giovanni প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।