‘তৈমুর সাহেব ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। টের পাবেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে, যে আশায় রয়েছেন, সেই আশায় গুঁড়েবালি।’ জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই বক্তব্যের পরই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ হারিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। কারণ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়েছেন তিনি। তবে তার নির্বাচনি প্রচারণায় আছেন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার মনিরুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী তৈমুরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এদিকে গত রোববার সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সেখানে তৈমুর আলম খন্দকারের উদ্দেশে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেছিলেন, ‘তৈমুর সাহেব ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। টের পাবেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে, যে আশায় রয়েছেন, সেই আশায় গুঁড়েবালি।’
সোমবার বিকেলে মনিরুল ইসলামকে তার সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ছুটে যান তৈমুর আলম। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। গণহারে গ্রেপ্তার করলেই মানুষ আতঙ্কে পড়ে যাবে।
নানকের ওই বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তৈমুর আরও বলেন, ‘সরকারি দলের মেহমান (নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ) নারায়ণগঞ্জে এসে এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, এভাবে নির্বাচনে হলে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি সবচেয়ে বেশি ক্ষুণ্ন হবে ।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তৈমুরের প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।


