আমাদের শরীরের জন্য প্রত্যেকটি ভিটামিনই খুব জরুরি। এক্ষেত্রে ভিটামিন ডি (Vitamin D) সেই তালিকাতে বেশ গুরুত্ব বহন করে থাকে। এই ভিটামিন শরীরের একাধিক জরুরি কাজে অংশগ্রহণ করে। তাই প্রতিটি মানুষের শরীরে এই ভিটামিনের সঠিক জোগান থাকা দরকার।

অন্যান্য ভিটামিনকে আমরা খাবারের মাধ্যমে পেয়ে যাই। তবে ভিটামিন ডি খাবারের মাধ্যমে ততটাও শরীরে পৌঁছায় না। কারণ খুব কম খাবারেই থাকে এই ভিটামিন। এক্ষেত্রে সূর্যের আলো ত্বকের লাগার পর কোলেস্টেরল থেকে শরীরে তৈরি হয় এই ভিটামিন।

শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব ঘটলে দেখা দিতে পারে রিকেট রোগ। এটি হাড়ের রোগ। সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। এছাড়া বড়দের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব (Vitamin D Deficiency) হাড়ের ক্ষমতা কমাতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা দেয় অস্টিওপোরোসিস নামের রোগ। এই রোগে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে হাড়ে আঘাত লাগা, হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা যায়।

ভিটামিন ডি এবং ক্যানসার
বেশকিছু দিন ধরে এই ভিটামিনের অভাবের সঙ্গে ক্যানসারের (Cancer) যোগ খোঁজার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের একটি গবেষণা বলছে, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে ব্রেস্ট ক্যানসারের (Breast Cancer) টিউমারের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছিল, এন্ডোক্রিনোলজি জার্নালে। গবেষণাটির প্রধান গবেষক ছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব মেডিসিনের ব্রায়ান জে ফেল্ডম্যান। এই গবেষকরা দেখেন, রক্তে ভিটামিন ডি কম থাকার কারণে এমন একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায় যা ব্রেস্ট ক্যানসারের বৃদ্ধি করে দ্রুত এবং ক্যানসারটিকে ছড়িয়ে পড়তেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ভিটামিন ডি শরীর তৈরি করে সূর্যের আলো থেকে। তারপর ক্যালসিট্রিয়ল হর্মোন তৈরি করে। এই হর্মোনটি শরীরের বিভিন্ন কোষকলা তৈরিতে, এমনকী ব্রেস্টের কলা তৈরিতেও কাজ করে। এই ক্যালসিট্রিয়ল ভিটামিন ডি রিসেপ্টরের সঙ্গে বেধে গিয়ে বিভিন্ন জিনকেও প্রভাবিত করে। এই জিনগুলির কিছু অবশ্যই ক্যানসারের সঙ্গে জড়়িত।

অন্য একটি গবেষণা অবশ্য বলছে, শুধু স্তন ক্যানসার নয়, এর পাশাপাশি প্রস্টেট, ওভারিয়ান ক্যানসার এবং মাল্টিপল মায়লোমার ক্ষেত্রেও এই ভিটামিনের যোগ রয়েছে। তাই এই ভিটামিন নিয়ে আর অবহেলা করা চলবে না।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই ভিটামিনের অভাব বর্তমান সময়ে অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ মানুষ শরীরে সূর্যের আলো লাগান না। এর ফলেই বাড়ছে সমস্যা। তাই দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট সূর্যের আলোয় দাঁড়ানো উচিত। যাতে শরীরে সরাসরি তাপ লাগে এবং গরম অনুভূত হয়।

নবজাতকের সুরক্ষায় ভিটামিন ডি-

অনেক সময়ই দেখা যায়, বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর বা ইমম্যাচিউড বাচ্চা প্রসব হলে কম বেশি সব বাচ্চারই ভিটামিন ডি স্বল্পতা থাকে। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়ার উপর নীল ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। এমনকি চোখের মধ্যেও মনির চারপাম নীল রং দেখা যায়। এ কারণে খুব বেশি জটিল অবস্থা না হলে হাসপাতাল বা বাসায়, যেখানেই আপনার শিশু জন্ম নিক না কেন, প্রতিদিন সকালের মিস্টি রোদে ১৫ থেকে ২০ মিনিট শরীরে রোদের তাপ দিন। শরীর হালকা গরম হলেই ঘরে নিয়ে যান। এভাবে প্রতিদিন এক মাস রোদে নিয়ে যেতে হবে। এর পর নীল রেশ কেটে গেলে সপ্তাহে ৪দিন রোদে নিতে হবে বাচ্চাকে।

নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে নিপুণের কাছে ২টা চুমু চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন চিত্র নায়িকা নিপুণ। তিনি বলেন, আমাদের প্যানেলের দুইজন নারী সদস্য শাহনুর ও জেসমিনের সামনেই এই নির্বাচন কমিশনার আমার কাছ থেকে তার গালে কিস চেয়েচছিলেন। তিনি এতটায় অভদ্র যে নির্বাচনের দিন তিনি এক পক্ষকে শুধু সাপোর্ট দিয়েছেন।


রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ নির্বাচন নিয়ে অনেক অভিযোগের মধ্যে এই অভিযোগটিও করেন। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তার দুই গালে দুইটা চড় মারা উচিত ছিল।


সংবাদ সম্মেলন নিপুণ আরও বলেন, এই চেয়ারে যে কি আছে তার জন্য এত রাজনীতি কেন? এসব আসলে কী। নির্বাচনের যে নিয়ম ছিল তা হয়নি, কিন্তু কেন করা হয়নি তারও প্রশ্নের উত্তর চাই। সবশেষ নিপুণ দাবি করেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনার পরও কেন এই পদটির জন্য নির্বাচন দেওয়া হবে না? নির্বাচন কমিশনার আপেক্ষিকভাবে এক পক্ষকে জেতানোর জন্য কাজ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে জায়েদ খান, এফডিসির এমডি, আর নির্বাচন কমিশনার পীরজদা হারুন একটা চক্র। তারা সবাই মিলে জায়েদ খানকে জিতিয়ে দিয়েছে। তারা টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে ভিডিওতে সেটা দেখা গেছে।’

নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি আবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শুধু সাধারণ সম্পাদকের ভোট চাই। অন্যপদের নির্বাচন চাচ্ছি না। আমি সবকিছুর জন্য উচ্চ আদালতে যাব। আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এই নিয়ম আছে শুধু এক পদের ভোট হওয়া।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক পদে পার্থী হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। তিনি পেয়েছিলেন ১৬৩ ভোট। অপরদিকে ১৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। নির্বাচনের ফলাফল মানতে নারাজ এই নায়িকা। এ নিয়ে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) আপিল করেন নিপুণ।

কেন আপিল করেছেন জানতে চইলে নিপুণ বলেন, আমার ১৬টি ভোট নষ্ট হয় কিভাবে? এই ভোটগুলো পেলেও আমি ২ ভোটে জিতে যাব। এছাড়া প্রশাসনও আমাদের অসহযোগিতা করেছে।

নিপুণের আপিলের প্রেক্ষিতে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাধারণ সম্পাদক পদের ব্যালট পেপার পুনঃগণনা করা হয়। তাতেও হেরে যান নিপুণ। আপিল ভোটের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান সময় সংবাদকে বলেন, ফলাফল আগেরটাই আছে। নিপুণকে আমরা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।


এদিকে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এছাড়া সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের ডিপজল ও রুবেল। তারা পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯১ ও ২১৯ ভোট। কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের দুই সহসভাপতি প্রার্থী ডি এ তায়েব পেয়েছেন ১১২ ভোট, রিয়াজ পেয়েছেন ১৫৬ ভোট।


ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় ভোট বর্জন করেছেন ডি এ তায়েব। সহসাধারণ সম্পাদক পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২১২ ভোট। ২০৩ ভোট পেয়ে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মামনুন ইমন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জয় চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ২০৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহনূর। আলেকজান্ডার বোকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। শাহনূর পেয়েছেন ১৮৪ ভোট। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন আরমান। তিনি পেয়েছেন ২৩২ ভোট। ১৯৩ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরহাদ পেয়েছেন ১৪৬ ভোট।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, আফজাল শরীফ সাইমন, জেসমিনসহ অনেকেই।

টানা প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে চলা তুষার ঝড়ের কারণে পাঁচটি মার্কিন অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে অঞ্চলগুলোতে শক্তিশালী ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। বাতিল করা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার ফ্লাইট। গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তুষারঝড় বয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলজুড়ে।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের কিছু কিছু এলাকা ব্যাপক বরফে ঢেকে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ ঘটনাকে ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন। ঝড়ের পর বরফ গলতে শুরু করলে উপকূলবর্তী ও এর আশপাশের এলাকায় বন্যা হতে পারে আশঙ্কা করছেন তারা।


ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৯৫ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। রাজ্যের কেপকড এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নিউইয়র্কের অনেক এলাকা ইতোমধ্যেই প্রায় ২ ফুট বরফে ঢেকে গেছে।


আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় রোববারজুড়ে খুব ঠান্ডা তাপমাত্রা বজায় থাকতে পারে। নরইস্টার নামে পরিচিত এ তুষারঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন এলাকা ২ ফুট বরফে ঢেকে যেতে পারে।


মেইন অঙ্গরাজ্য ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বরফে ঢাকা পড়তে পারে। নিউইংল্যান্ড অঙ্গরাজ্য দুই ফুটেরও বেশি গভীর বরফের নিচে ঢাকা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিবিসিকে জানান স্থানীয় আবহাওয়াবিদ ম্যাথিউ ক্যাপুচি। ঝড়টি ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্য থেকে মেইন অঙ্গরাজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। নিরাপত্তার জন্য বাসিন্দাদের রাস্তায় বের না হতেও সতর্ক করা হয়েছে।


ঝড়ের কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের আবহওয়া দপ্তর ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানায়, এ ঝড়ের তীব্রতা এতো দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে, পূর্ব উপকূলজুড়ে বম্বোজেনেসিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় চিত্ত বিনোদনের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন অঞ্চল পাহাড়ী অঞ্চল। মূলত রাঙ্গামাটি, বান্দরবান আর খাগড়াছড়ি, এই তিন পাহাড়ী এলকার সমন্বয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। পাহাড়ী এই তিন এলকার মাঝে সবচেয়ে সাজানো গোছানো পাহাড় বেশি বান্দরবান।


ঢেউ খেলানো উঁচু নিচু আর আঁকাবাকা রাস্তায় দিকবিদিক। এ যেন এক অ্যাডভেঞ্চার প্রকৃতির মাঝে। সবুজে মোড়ানো একেকটি পাহাড় একেকটির সাথে সংযোগ সৃষ্টি করেছে সরু ব্রিজ। এসব রাস্তা দিয়ে এলাকায় বসবাসকারীদের পাশাপাশি যাতায়াত করতে হয় পর্যটকদের।


সরু রাস্তার দুপাশে কখনো পাহাড়ে ঘেরা। আবার একপাশ পাহাড় তো অন্যপাশ দিগন্ত জুড়ে পাহাড়ের বুকে অরণ্যে ঠাসা। প্রকৃতির এ রুপ যে কোন শিল্পীর দৃষ্টিকে স্তব্ধ করে দেয় তার রুপের মোহে।


বান্দরবান থেকে রুমার বগা লেক যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টা। যেতে হবে তিনটিভাবে। নিজস্বভাবে চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে, মোটরসাইকেল বা গণপরিবহন। সবেচেয়ে ভাল চাঁদের গাড়ি।


বগা লেক পৌছানোর ঠিক ৩০ মিনিট আগে দেখা মিলবে বাংলাদেশের একমাত্র পরিচ্ছন্ন পাড়া মুনলাই। এ পাড়ার পরিচ্ছন্নতা বিশ্বয়কর প্রতিটি মানুষের কাছে।


এ গ্রামে বসতি বেশি নয় । তবুও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় এক নজর কারা। কোথাও কোন উচ্ছৃষ্ট বা কাগজের টুকরা কিংবা কোন ব্যবহার্য্য জিনিস নেই রাস্তায় বা বাড়ির সামনে।


জীবিকা নির্বাহে বলা যায়, কৃষি কাজ, পর্যটকদের আতিথিয়তার মাধ্যমে যা আয় হয়, তা দিয়ে চলে এখানকার বাসিন্দাদের সংসার। এছাড়া কিছু নাগরিক সরকারি-বেসরকারি চাকরীও করেন।


পাহাড়ী হলেও মুনলাই গ্রামের যে পরিবেশ তা অনেক সভ্য সমাজকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া ও শেখার মানসিকতার দুয়ার খুলে দিতে এক অন্যতম শিক্ষার নজির।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপিতে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ।

রোববার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, গতবছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ বছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

জিডিপির আকার ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই ৪৫৫ বিলিয়ন ডলারকে আমাদের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভাগ দিলেই মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৭৮৫ ডলারে উন্নীত হবে। এটা হচ্ছে আমাদের এই বছরের হিসাব। আশা করি, আগামী অর্থবছরে আমাদের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সবসময় বিশ্বের অর্থনীতি একদিকে বিশ্লেষণ করে, অন্যদিকে তাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আমরা প্রত্যাশা করছি ৭ দশমিক ২ শতাংশ, এর বিপরীতি আইএমএফ বলছে আমাদের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবে। আমরা অবশ্যই অতীতের মতো আমার বিশ্বাস, আমরা যা বলেছি সেটা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

আগামী বছরও আমাদের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ৮৯ মার্কিন ডলার হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সে বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিত ৫ শতাংশ হবে, এটা আমার মোটামুটি হিসাব।

এদিন অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির তিনটি ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাতটি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, জন নিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৩৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৪৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮১ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯৩৭ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার ১৮৩ টাকা ব্যয় হবে।

জলবায়ুর পরিবর্তন : বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগে একাধিকবার জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে। এর পরিবর্তনের সাথে বিভিন্ন প্রজাতি আভিযােজন ঘটাতে না পারায় তাদের বিলুপ্তি ঘটেছে। কার্বনিফেরাস ও প্লিস্টোসিন যুগে সমগ্র পৃথিবী বরফাবৃত থাকায় অসংখ্য প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

অগ্ন্যুৎপাত : অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে সৃষ্ট লাভা প্রবাহে বহু প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে।

ধূমকেতুর পতন : মহাকাশ থেকে আগত ধূমকেতু পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়লে সেখানকার জীবের মৃত্যু ঘটে।

বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, সুনামি : বন্যা, খরা, ভূমিকম্প ও সুনামি ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বহু প্রজাতির জীবের বিনাশ ঘটে ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

মানুষ্য কারণসমূহ-

আবাসস্থলের সংকোচন : পৃথিবীতে জনসংখ্যার অত্যধিক চাহিদা পূরণ করার জন্য নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে। এর ফলে উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ও তার সঙ্গে বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থলগুলিও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক প্রাণীর বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। আবাসস্থলের সংকোচন হলে তারা ঠিকমতাে প্রজনন করতে পারে না। মানুষের তথাকথিত উন্নয়নমূলক কার্যকলাপ, যেমন বনাঞ্চল কেটে কৃষিজমির সম্প্রসারণ, আবাসন প্রকল্প তৈরি, কলকারখানা স্থাপন প্রভৃতির জন্য অরণ্যাঞ্চল ক্রমেই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ও জীববৈচিত্র্যের বিনাশ ঘটছে।

বিদেশ থেকে আগত প্রজাতি : যে-কোনাে বাস্তুতন্ত্রের নিজস্ব গঠনবৈচিত্র্য থাকে। বাইরে থেকে হঠাৎ কোনাে প্রজাতি এলে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের গঠন বিনষ্ট হয়। এতে স্থানীয় প্রজাতির বৈচিত্র্য ভীষণভাবে হ্রাস পায়। যেমন—পার্থেনিয়াম নামক গুল্ম ও কচুরিপানা বিদেশ থেকে এনে এদেশে স্থাপন করায় আমাদের বাস্তুতন্ত্র ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় খরগােশ আমদানি হওয়ার পর থেকে সেখানকার অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ বিনষ্ট হয়ে গেছে।

বন্যপ্রাণীর সংহার : বিভিন্ন বন্যজীবকে নির্বিচারে হত্যা করার ফলে সেই প্রজাতিগুলি ক্রমান্বয়ে বিপন্ন হয়ে পড়ছে। হাতির দাঁত, বাঘের চামড়া, গন্ডারের খড়গ প্রভৃতির জন্য সেই জীবদের এমন হারে হত্যা করা হয়েছে যে বর্তমানে তারা বিলুপ্তপ্রায় বলে গণ্য হচ্ছে।

অত্যধিক হারে উদ্ভিদ প্রজাতির আহরণ : বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি তাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য বনাঞ্চল থেকে নির্বিচারে বিভিন্ন বৃক্ষলতা ও গুল্ম আহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ বনাঞ্চল থেকে ভেষজ গুণসম্পন্ন গুল্মগুলি সংখ্যায় অতি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।

বিভিন্ন প্রকারের দূষণ : সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিতে জলদূষণ, বায়ুদূষণ ও মৃত্তিকাদূষণের মাত্রা প্রভূত পরিমাণে বাড়ছে। এই দূষণের ফলে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে। প্রকৃতিতে প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশককেই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। অধীক বায়ুদূষণের ফলে পােল্যান্ডের একটি জাতীয় উদ্যানে একবার ৪৩টি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে চিলজাতীয় পাখির সংখ্যা হ্রাসের কারণও হল প্রকৃতির দূষণ।

পরিকল্পনাবিহীন উন্নয়ন : যে-কোনাে উন্নয়নমূলক কাজে হাত দেওয়ার আগে পরিবেশের ওপর তার প্রভাব সম্পর্কে সমীক্ষা করে নেওয়া প্রয়ােজন। ভারতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাঁধ, জলাধার, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে, যেগুলির পরিবেশগত ঝুঁকি আগে থেকে বিশ্লেষণ করা হয়নি। এর ফলে এইসব পরিকল্পনা রূপায়ণে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্র প্লাবিত হয়েছে, আদিবাসীরা বাস্তুভিটে হারিয়েছে এবং অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী চিরকালের জন্য বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

অপর্যাপ্ত আইনি ব্যবস্থা : জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য আজ পর্যন্ত সঠিক ও পর্যাপ্ত আইন প্রণয়ন করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রচলিত আইনগুলিও সঠিক পরিচালন ব্যবস্থার অভাবে তা প্রয়ােগ করা যাচ্ছে না। যতদিন না উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হবে ও কঠোরভাবে তা বলবৎ করা হবে – ততদিন জীববৈচিত্র্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ অসম্ভব।

ডেল্টার পর করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। নতুন ধরন হিসেবে দেখা দিয়েছে নিওকোভ। তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতার জন্য এ রূপ নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। এমনই দাবি করছেন চীনের একদল বিশেষজ্ঞ। করোনার নতুন এই ধরনের নাম ‘নিওকোভ’।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) ভারতের সংবাদমাধ্যমে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

উহানের এই চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের দাবি, শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কার হওয়া এই মার্স-করোনাভাইরাস। শুধু তাই নয়, চীনা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই রূপের মারণক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রতি তিনজন সংক্রমিতের একজনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’- এ।

উহানের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বাজারে বর্তমানে করোনার যেসব টিকা আছে তার কোনোটিই নিওকোভের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবে না। যদিও এই ভাইরাস নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা।

কোভিড-১৯ এর সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মিল নিওকোভের। প্রথম এই ধরনের রূপের সন্ধান মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মূলত বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় নিওকোভ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, চীনা বিশেষজ্ঞরা যে নতুন রূপ নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এই রূপটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।

করোনাভাইরাস শনাক্তের হার গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে দেশে গত বছরের ২৪ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারিএ বছরের সর্বোচ্চ করোনাভাইরাস শনাক্তের হার দেখেছিল দেশের মানুষ। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ফলে আজকের হার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল।

২৮ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৪৪০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ৪৬ হাজার ২৬৮ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩২৬ জন। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন।

আর দিনের ব্যবধানে মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩০৮ জনে।

জাপান সরকার ভাসানচরে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য ২ মিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই অনুদানের মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এক মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এক মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।

এই অর্থ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে, যাতে খাদ্য ও স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে ভাসানচরে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি বলেন, তার সরকার ২০২১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চলমান কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে যা ভাসানচরের জন্য সহায়তা প্রদানের একটি মৌলিক কাঠামো।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা লোকজনের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাজের প্রশংসা করেন।

নাওকি বলেন, ‘জাপান আশা করে, জাতিসংঘ ভাসানচরে বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে সাড়া দেবে এবং দৃঢ়ভাবে আশা করে যে, এই সহায়তা আরও ভালো পরিষেবা প্রদানে এবং ভাসানচরে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে প্রভূত অবদান রাখবে।’

জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করবে।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রতিক্রিয়ায় সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এ জয় জনসাধারণের, যারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। ।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ চেয়ারম্যানবাড়ীতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। 

নাসিক নির্বাচনে টানা তিনবার জয়ী আইভী আরও বলেন, আমি দল ও নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে আমার নেতাকর্মীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার জন্য কাজ করেছেন।


আইভী আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছর নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব। আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। সব ধরনের বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে কাজ করতে চাই। 


টানা তৃতীয় বারের মেয়র হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আইভী বলেন, এ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের জন্ম এ নারায়ণগঞ্জে। তার ধারবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি বলে নিজেকে গর্বিত মনে করি। শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি আজীবন এ দল করবো, জয় বাংলা বলবো। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্ব হয়ে আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করবো। দল-মতের উর্ধ্বে উঠে জনকল্যাণে কাজ করব।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার ‘ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ তুলেছেন। তার জবাবে আইভী বলেন,  এত মিডিয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিংটা কোথায় হল? আমি অভিযোগ করছিলাম, ভোট স্লো হচ্ছিল। যদি স্লো না হত তাহলে এক লাখ ভোটের ডিফারেন্স হত। কী ধরনের সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে, আমি জানি না। দেশবাসী দেখেছে, মিডিয়া দেখেছে, নারায়ণগঞ্জবাসী দেখেছে; এখানে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। ভোট কাস্টিং দ্রুত হলে ভালো হত।

এর আগে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। দুজনের ভোটের পার্থক্য ৬৯ হাজার ১০২টি।
এর ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হতে চলেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।